প্রকাশিত: ১৫/০৩/২০১৮ ৮:০৪ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:২৫ এএম

বিশেষ প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গা চাপে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় পরিবারদের কাজের বিনিময় সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আওতায় পালংখালী ইউনিয়নের শ্রমিকদের মজুরী ও খয়রাতির টাকা লুটপাটের ঘটনা নিয়ে তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকেরা বুধবার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছে।
চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট প্রদান পূর্বক খয়রাতির টাকা আত্মসাৎ কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় যেসব স্থানীয় পরিবার আর্থিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের অর্থ সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় এনজিও সংস্থা মুক্তি পালংখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে সাড়ে ৩ শ জন হতদরিদ্র ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৭ শ জন হতদরিদ্র শ্রমিকের একটি তালিকা করে যথারীতি তাদেরকে টোকেন বিতরণ করেন।
ওই টোকেনের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার এনজিও সংস্থা মুক্তি প্রতিটি টোকেন প্রাপ্ত ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা করে বিতরণ করেন।
সরজমিন ঘটনাস্থল পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকা ঘুরে জানা যায়, স্থানীয় মেম্বার নুরুল হক এনজিও সংস্থা মুক্তি প্রদত্ত ৪ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা করে কর্তন করেন। এ ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী মহিলা শ্রমিকদের মাঝে তুমূল উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা বিষয়টি লিখিত ভাবে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী তানিয়া আক্তার (২৬) আলম শাইর (৩০) শাকেরা বেগম (২৫) সুরুত আফজল (৩৮) আরেফা বেগম (৪৫) আনোয়ারা বেগম (৩০) দেলোয়ারা বেগম (৪৫) লায়লা বেগম (২৫) মমতাজ বেগম (৩৫) রাবেয়া বেগম (২৫) রাশেদা বেগম (৩৫) ও বয়োবৃদ্ধ আলী হোসেন (৭৫) অভিযোগ করে জানান, তাদের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে জোরপূর্বক ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কেড়ে নিয়েছে স্থানীয় শাহ আলম, জামাল, মিজান ও মোহাম্মদ নুর নামের ৩ ব্যক্তি। এসব লোক মেম্বার নুরুল হক মেম্বারের ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী বলে জানা গেছে। ইতি পূর্বে নুরুল হক মেম্বারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গরু ও মহিশ চুরি ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। এই ছাড়াও নুরুল হক এলকার শাহ অালম সেন্ডিকেট দিয়ে ইয়াবা পাচার করে অাসছে দীর্ঘদিন ধরে।
এছাড়া খয়রাতির টাকা লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে পালংখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুলতানের বিরুদ্ধেও।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভুক্তভোগী শ্রমিকেরা অভিযোগ করার পর ১২জন শ্রমিকের কাজ থেকে জোরপূর্বক আদায় করা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি বলেন, যেসব শ্রমিকদের কাজ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে ওইসব টাকা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে নিয়ে সংশ্লিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে নুরুল হক মেম্বারকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

পাঠকের মতামত